তাড়াহুড়া না করে এই ওয়েবসাইটের সকল  তথ্য ভালো ভাবে পড়ুন। এ ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শুধুমাত্র শিক্ষিত/সচেতন লোকদের জন্য।

Happy couple

দাম্পত্য জীবন নিয়ে কিছু গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন উত্তর

দাম্পত্য জীবন নিয়ে নিচের প্রশ্নের উত্তর জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় আপনার বিবাহিত জীবন হয়ে উঠবে বেদনা ময়। চলুন বেশ কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

বিয়ের কতদিন পর সন্তান নেওয়া উচিত?

বিয়ের পর মিনিমাম ১ বছর সময় নেওয়া উচিত সন্তান নেয়ার জন্য। সম্ভব হলে বেশি। তানা হলে ২ বছর। বিয়ের প্রথম দিকেই যদি স্ত্রী কনসিভ করে মানে সন্তান সম্ভবা হয়ে যায় তাহলে বিয়ের ২/৩ মাসের মধ্যেই স্ত্রী নানান ধরণের মাতৃত্ব-কালীন অসুস্থতায় পড়বে এতে করে দুই জনের মধুময় জীবনের যে স্বপ্ন দেখতেন সেটা বেদনাময় হয়ে উঠবে। ২ জন দুেই জনকে জানতে এবং নিজেদের মত করে জীবনটা উপভোগ করতে কিছুটা সময় নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক বেশি সময় নেওয়াটা ও বিভিন্ন কারণে ভালো নয়। স্মরণ রাখবেন সন্তান সম্ভব হওয়ার আগের জীবন এবং পরের জীবনের মধ্যে বিস্তর তফাৎ। আপনি কখনোই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন না।

সন্তান সম্ভবা (কনসিভ করার) হওয়ার পর কি যৌন মিলন করা যায়?

অবশ্যই যায় তবে, কনসিভ করার পর ২/৩ মাস খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এবং ৮ মাসের পর আসলে আপনাদের ইচ্ছা থাকলেও আর সম্ভব হবে না। স্ত্রীর জন্য কষ্টকর বাট তারা স্বামীর কথা চিন্তা করে আগ্রহ দেখাতে পারেন। স্বামী আপনি যেহেতু বাবা হতে যাচ্ছেন নিজেকে সংযত রাখুন। যৌন উত্তেজক খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে রোজা রাখুন। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন

কিভাবে নিরাপদ এবং ঝুঁকিহীন পদ্ধতিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবেন?

লেসনের এই অংশ লক করে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণটা এবং অন্য সকল লিখা পড়তে কোর্স ফি ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
এখানে পে করুন

অলরেডি পে করে থাকলে লগিন করুন ( log in ) , তবেই পুরো লেসনটি পড়তে পারবেন।

কন্ডম ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

আপনি সন্তান না নেওয়ার বেপারে আগ্রহী হলে আপনি সেক্স শুরু করার প্রথম দিকে কনডম ব্যবহার করবেন না, যাতে করে আপনি যৌন মিলন ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেন। যখন বুঝতে পারবেন আপনার অর্গাজম হবে, তখনি কনডম পরে নিন অথবা বীর্য বের হওয়া আগেই লিঙ্গ বের করে আনুন এবং বীর্য বহিরে রাখা কোন কাপড় বা টিসুতে ফেলেন। তবে জীবনের প্রথম যখন যৌন মিলন করবেন তখন কনডম ব্যবহার করবেন তখন হয়তবা আপনি বিষয়টা নাও বুঝতে পারেন এবং বীর্যপাত আপনার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নও থাকতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে আপনি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন এবং কনডম ছাড়াই আপনি যৌন জীবন উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে বীর্যপাতের পূর্ব মুহূর্তে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি যৌন মিলনের দৈর্ঘ্য বাড়াতে পারেন।

সন্তান হওয়ার কত দিন পর সেক্স করা যায়?

সন্তান প্রসবের পর এ-রাউন্ড ১ সপ্তা মায়ের জনী দিয়ে জরায়ুতে জমে থাকা দুষিত রক্ত বের হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এটা বন্ধ হওয়ার পর ই সেক্স করা যায়। তবে সাধারণত আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। যেমন প্রাকৃতিক ক্ষেতে ১৫ দিন থেকে ১ মাস অপেক্ষা করতে হয়। এবং সিজার এর ক্ষেতে ডাক্তাররা ১-২ মাস সময় নিতে বলে থাকেন।

সন্তান হওয়ার পর সেক্স কতটা আনন্দময় হয়?

সন্তান হওয়ার পর বেশ কিছু দিন অধিকাংশ স্ত্রীর যৌন চাহিদা থাকেনা বা আগ্রহ থাকে না। এসময় তারা স্বামীর কথা ভেবে যৌন মিলন করে থাকে। এই সময়টা একজন স্ত্রীর জন্য বেশ চেলেন্জিং সময়। অনেকে তার রূপের অভাব অনুভব করেন। কিছুটা স্থূল থাকায় কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগেন এবং হরমোন গত কারণে রাগী এবং খিটখিটে মেজাজের লক্ষণ দেখা দেয়। স্বামীকে এই সময়টা স্ত্রী এবং সন্তানের কথা ভেবে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।

সন্তান হওয়া পর স্ত্রী তার সন্তানকে আগের মত ভালোবাসে?

স্ত্রী তার ইচ্ছা থাকলেও স্বামীকে আগের মত ভালো বাসতে পারবে না। বিয়ের আগে নিতান্ত জ্বরের মধ্যে আপনার জন্য শাড়ী পরলেও সন্তান হবার পর সেটা আর করা হয়ে উঠবে না। সেটা স্মরণ করে রোমন্থিত হবে আর আফসোস করবে (ব্যক্তিগত গত অভিজ্ঞতা) বাট এমনটা সে ইচ্ছা করে করবে বেপারটা এমন না। সন্তানের ভালো থাকা সুস্থ থাকাটাই প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াবে। সন্তানের বয়স ১ থেকে দেড় বছর হওয়ার পর সে অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে এবং আপনাদের দুই জনের জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

একাধিক সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে কতদিন গ্যাপ নেওয়া উচিত?

সন্তানের বয়স ২ বছর পর সে মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করে সাধারণত। এর পর যে কোন সময় সন্তান নেওয়া উত্তম। ডাক্তরিভাবেও সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ২ বছরের মত গ্যাপ দিতে হয়। যদিও আমার পরিচিত একজন আপু সন্তান হওয়া পর ২১ দিনের মাথায় যৌন মিলনেই কনসিভ করেছেন এবং সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তবে এখানে কথা হচ্ছে স্ত্রী কনসিভ করার পর তার স্তনের দুধ শুকাতে শুরু করবে। যার ফলে আগের সন্তান তার হক ২ বছর মায়ের দুধ পান করা থেকে বঞ্চিত হবে।

কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অথবা আমাকে উৎসহ দিতে কমেন্টে করে জানাবেন। একটি সুন্দর এবং ভালোবসা পূর্ণ পরিবার/সমাজ দেখার জন্যই আমার এই ব্লগ।

পোস্টটি আপনি শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে আপনার ভাই বন্ধুর সাথে শেয়ার করবেন। আশা করি তার জীবনের বড় একটা উপকার হবে।

পোস্টটি আপনার কতটা উপকার করেছে কমেন্ট করে জানাবেন (গোপনীয়তার জন্য ছদ্দ নামা ব্যবাহার করতে পারেন)

1 thought on “দাম্পত্য জীবন নিয়ে কিছু গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন উত্তর”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কোন প্রশ্ন আছে?